সুদর্শন আচার্য্য: নদী মাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশ গ্রাম গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য নদ-নদী ও খাল বিল। বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা পলি ও বালি মাটি জমে ভরাটের কারণে দখল দূষণ ও নাব্যতা হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে এসব নদী। খননের অভাবে বর্তমানে মরা খালে পরিণত হয়ে মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে নদীগুলো।
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মগড়া নদী থেকে বর্নী নদী ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের পেছন দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজার হয়ে নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলা গ্রামের পিছন দিয়ে বাসুঁরী বাজারের সামনে দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পাশের উপজেলা কেন্দুয়া কৈজানি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
এ ছাড়াও ঘন্ডাপতি ও ধলাই নদী ছত্রকোনা গ্রামের পেছন দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়নের সাহিটপুর গ্রামের পেছনের মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে।
এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মহল পেছনের অংশ সহ বিভিন্ন নদীর অংশ যে যার মতো দখলে নিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরে। পরে তারা সেখানে ধান চাষ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকি না থাকায়,জনগণ একদিকে নদীর উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব। স
রকারি হাজী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ পরিবেশবিদ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নদী দখল প্রতিরোধ করতে হবে। না হয় পরিবেশের বিপর্যয় থেকে আমরা কেউ রক্ষা পাবনা তাই জন সচেতনতা বৃদ্ধি, নদী খনন,সহ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
নদীর দুই পাড়ের কৃষক,রফিক মিয়া,ফরিদ,লালন, জেলে শুশীল বর্মণ,জাগরনবর্মণ,নারায়নবর্মণ তারা বলেন কি আর কইয়াম দাদা মনর কষ্টের কথা সরকার ঘুষান দিছিল জাল যার জলতার এখন আর নদীতে জলেই থাকেনা জাল দিয়া কি করাম,আমরাও এখন অন্য কাজকাম করে জীবন চালাই, সাবেক ইউপি সদস্য আহিম উদ্দিন,পথচারি রুবেলমিয়া,কাকন মিয়া, বিল্লালমিয়া তারা খুব ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন আমরা এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর ঘর গৃহস্থালির কাজ করতাম। বোরো ফসলের সময় কুনদীয়া পানি দিতাম তখন জমিতে পানি দেওয়ার কোনো চিন্তা করতে হতো না। এখন আর জমিতে সেচ দেওয়ার মতো পানি থাকেনা। গরু বাঁছুর নদীতে গুছল করাইতাম। সময়, সময়,কছু মাছ মারতাম কিন্তু প্রভাবশালী মহলের দখলে থাকায় মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হয়েছে জেলেসহ সাধারণ জনগণ। দুই তীরে যাদের জমি আছে তারাই নদী দখলে নিচ্ছে। যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর ছলনায় নদী দখল করছে।কেউ কেউ সুবিধা অনুযায়ী মাটি উত্তোলন করে বাড়িঘর নির্মাণ করছে। এমন কি সুযোগ মত মাটি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান এ প্রতিনিধিকে বলেন, ইতিমধ্যেই নেত্রকোনা জেলায় প্রায় ৪৮টি নদী খনন করা হয়েছে। আরোও কিছু ভরাট হওয়া নদী তালিকায় রয়েছে, এগুলো পানি উন্নয় বোর্ড অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হয়ে আসলে খননের কাজ শুরু করা হবে।
সবার আগে আমরা আছি আপনার সাথে