বিশেষ প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন আসনের নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রাপ্তিগণ মাঠে-ঘাটে ,হাটে- বাজারে তাদের নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে নেত্রকোনা ১ দুর্গাপুর- কলমাকান্দা আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা দুর্গাপুর- কলমাকান্দা উপজেলার বিভিন্ন হাটে- বাজারে প্রচার-প্রচারণা শেষে এবার দুই উপজেলার
নারী ভোটারদের নিয়ে “ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে” উঠান বৈঠক শুরু করেন।
সরকারের উন্নয়নমূলক দৃশ্য পট ছাড়াও তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন ও এলাকার বিপদে পাশে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।
এছাড়াও বাবার অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য লোকজনকে আগামী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এমপি হিসেবে মনোনীত হয়ে জয়যুক্ত হতে চান। দুর্গাপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ডাহাপাড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের নারী ভোটারদের নিয়ে উঠান বৈঠকের আয়োজন করেন ।
উঠান বৈঠকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা এ সময় নারী ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এই দুর্গাপুরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও আপনাদের সাথে সবসময় থাকবো। শুধু কিছু কথা বলতে চাই, আমি একজন নারী হিসেবে আপনাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি যে আমার মা- বোনদের স্বাবলম্বী করার জন্য সেলাই ,বিউটি পার্লারের কোর্স সহ বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী করে তুলবো ,যাতে করে স্বামীর উপর নির্ভরশীল হতে না হয়, নিজের চাহিদা পূরণ করেও যেন পরিবারের পাশে থাকতে পারে এমন ব্যবস্থা করবো । আরেকটি বিশেষ উদ্দেশ্য আছে আমার, আমাদের দুর্গাপুরের আদিবাসীরা এক সময় তাঁত শিল্পের উপর নির্ভরশীল ছিল কিন্তু কালের পরিবর্তে এগুলো এখন চোখে পড়ে না, তাই আমি নির্বাচিত হলে আদিবাসী নারীদের তাঁত শিল্প প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মেয়েদের দক্ষ করে তুলবো।
যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে নৌকা তুলে দেন তাহলে আমি এখানে দাঁড়িয়ে আপনাদের সামনে কথা দিয়ে যাচ্ছি, আমার মা -বোনদের জন্য আমার যা করার দরকার তাই করবো ,আমার কাছে আপনারা সব সময় যাবেন আমি কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেব না। আমার উপর একটু বিশ্বাস রাখুন।
তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি জনগণ ও আপনারাই আমার সব । আমার উদ্দেশ্য যদি সুন্দর ও ভালো থাকে আমি যেন নমিনেশন পাই এবং নৌকা নিয়ে আপনাদের মাঝে আসতে পারি। আমি আসার সময় একটা রাস্তা ভাঙ্গা দেখলাম আমি কথা দিচ্ছি আগামী সাত দিনের মধ্যে রাস্তাটি ঠিক করে দিব। আপনারা আগেও আমার পাশে ছিলেন ,এখনো পাশে থাকবেন আশা করি। আমার বাবা জালাল তালুকদারের মেয়ে হিসেবে আমাকে এলাকার উন্নয়ন করার জন্য সুযোগ করে দিবেন।
সবার আগে আমরা আছি আপনার সাথে