প্রকাশের সময় 25/04/2024
ক্যানসার-সৃষ্টিকারী রাসায়নিক ইথিলিন অক্সাইডের উপস্থিতি মেলায় ভারতীয় দুই কোম্পানির পণ্য হংকং এবং সিঙ্গাপুর নিষিদ্ধ করার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) রপ্তানি করা ভারতের ৫২৭ পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ দেশটির প্রথম সারির প্রায় সব গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ভারতের সাথে সংশ্লিষ্ট ৫২৭টি পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড খুঁজে পেয়েছে। এসবের বেশিরভাগই বাদাম এবং তিল বীজ (৩১৩), ভেষজ ও মশলা (৬০), ডায়েট জাতীয় খাদ্য (৪৮) এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য (৩৪)।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ দেশটির প্রথম সারির প্রায় সব গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ভারতের সাথে সংশ্লিষ্ট ৫২৭টি পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড খুঁজে পেয়েছে। এসবের বেশিরভাগই বাদাম এবং তিল বীজ (৩১৩), ভেষজ ও মশলা (৬০), ডায়েট জাতীয় খাদ্য (৪৮) এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য (৩৪)। ইউরোপে রপ্তানি করা ভারতীয় এসব পণ্যের ৮৭টি চালান ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকিপণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ধরনের রঙহীন গ্যাস ইথিলিন অক্সাইড; যা ভারতীয় পণ্যগুলোতে কীটনাশক ও জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাধারণত এই রাসায়নিক চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করা এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে তা অন্যান্য ক্যান্সারের পাশাপাশি লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ার ঝুঁকি তৈরি করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংস্থা র্যাপিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিডের (আরএএসএফএফ) তথ্য অনুযায়ী, ৫২৫টি খাদ্যদ্রব্য ও দুটি ফিড পণ্যে রাসায়নিকটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩৩২টি পণ্যের উৎস দেশ ভারত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকি খাদ্যপণ্য অন্যান্য দেশ থেকে গেলেও সেগুলোতে ভারতের ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউরোপে খাদ্যপণ্য পরীক্ষাকারী রামাইয়াহ অ্যাডভান্সড টেস্টিং ল্যাবের সিওও জুবিন জর্জ জোসেফ বলেছেন, সরাসরি ইথিলিন অক্সাইডের সংস্পর্শে আসা ছাড়াও খাদ্যপণ্যে মেলা আরও দুটি রাসায়নিক ভোক্তাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল।
তিনি বলেন, এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ইথিলিন গ্লাইকল। কিছুদিন আগে আফ্রিকায় কাশির সিরাপের মধ্যে এই রাসায়নিক পাওয়া যায়। আফ্রিকায় এই সিরাপ খেয়ে অনেক শিশুর প্রাণহানি ঘটেছে।
ভারতের জেলা ভোক্তা ফোরামের সদস্য এক কর্মী বলেন, রপ্তানি পণ্যে এ ধরনের রাসায়নিকের উপস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যেসব খাদ্যপণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়, সেগুলো সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের। আর এসব পণ্যের মান যদি এমন হয় তা হলে স্থানীয় বাজারে যা বিক্রি হয়, তার কী অবস্থা? সেগুলোও পরীক্ষা করা দরকার। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক