প্রকাশের সময় 13/01/2025
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ার একজন মানবিক নেতা জসীম উদ্দীন আহম্মেদ খোকন। মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে তাঁর জীবনের পথচলা শুরু। তিনি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পৌরসদরের টেংগুরী গ্রামের কৃতি সন্তান। সামাজিক,সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় কাজকর্ম,ব্যবসা ও রাজনীতি নিয়ে তাঁর দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ত সময় কাটে। সে টেংগুরী গ্রামের প্রয়াত খোরশেদ উদ্দিনের সুযোগ্য সন্তান। তাঁর বাবা মরহুম খোরশেদ উদ্দীন আহম্মেদ ছিলেন একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক। খোকনের মাতার নাম সাফিয়া আক্তার। চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় জসীম উদ্দিন আহম্মেদ খোকন ১৯৮৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন করেন। কেন্দুয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করে প্রাথমিক গন্ডী পেরিয়ে কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরে কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজে পড়াশোনা করা কালীন সময়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৎকালীন সময়ের কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের হাত ধরে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতির শুরুতে কেন্দুয়া কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হন। পরবর্তীতে কেন্দুয়া কলেজ ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক হন এবং পরে পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ৫ বার কারাবরণ করেন ও ৩০ টি মামলার আসামী হতে হয়েছে। একটি মামলায় রিমান্ডে আনা হয়। বিগত দিনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাঁর নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুরসহ লুটপাট করে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে তিনি জানান।
জসিম উদ্দিন আহম্মেদ খোকন একজন ব্যবসায়ী,মানবিক রাজনীতিবীদ,সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে সমাজে সুপরিচিতি লাভ করেছেন। শৈশব থেকে মানুষের প্রতি তার ছিল অগাধ ভালবাসা। অতীতে ও বর্তমানে জসীম উদ্দীন আহম্মেদ খোকন সমাজের গরীব দুঃখী ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য মানবিক কাজে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।রাজনীতি,ব্যবসার পাশাপাশি সমাজকে আদর্শ শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে নিজ বাড়ি প্রাঙ্গনে মা বাবার নামে গড়ে তোলেছেন সাফিয়া খোরশেদ একাডেমী।এছাড়াও জানা যায়,জসীম উদ্দীন আহম্মেদ খোকন তাঁর ব্যাক্তিগত প্রচেষ্টায় গরীব অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রী,এতিম ও পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য অনুদান দিয়ে থাকেন।
একান্ত সাক্ষাতকারে জসীম উদ্দিন আহম্মেদ খোকন জানান,শুধু মাত্র রাজনীতি করার কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আমার চার ভাইকে মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। এমনকি আমার ছোটভাই কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক পৌর স্বেচছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইলিয়াসও ৫ বার কারাগার বরণ করতে হয়েছে ও ২৫ টি মামলার আসামী হতে হয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান,অতীতে মাসুম বাচ্চাকে রেখে পুলিশী হয়রানীতে দূরে থাকতে হয়েছে যা আজ ভুলতে পারিনা। এতটাই দুঃসহ জীবন যাপন করতে হয়েছে।
জসীম উদ্দিন আহম্মেদ খোকন ২০১২ সালে পারিবারিক ভাবে সেতু আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাহসিন আহম্মেদ,তাসফিয়া আক্তার,তাসকিন আহম্মেদ নামে তিন সন্তানের জনক। জসীম উদ্দিন আহম্মেদ খোকন তাঁর প্রতিষ্ঠিত সাফিয়া খোরশেদ আহম্মেদ মডেল একাডেমী,মেসার্স লিমা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স তাসফিয়া এন্ড সেনেটারী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সময় দেওয়াসহ সামাজিক কর্মকান্ডেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। চলমান রাজনীতি বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন-রাজনীতির পাশাপাশি প্রত্যেকের উচিত নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কর্মের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া।
তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন-ভবিষ্যতে মানুষের কল্যাণের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করবো। এছাড়াও একটি উন্মুক্ত কবরস্থান করবো। এ সময় তিনি আরও জানান,আমার বাড়ীর ১৫ শতাংশ জায়গা ব্যতীত অর্জত সকল সম্পদ ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যাবতীয় সম্পত্তি কল্যাণ ট্রাস্টে দান করে যাবো। ট্রাস্টের আয়ের ২৫% আমি এবং আমার অবর্তমানে আমার পরিবারের উত্তরসূরীরা ভোগ করবে। ২৫% জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হবে। বাকী ৫০% প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে।
এছাড়াও জানা গেছে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বেকারের কর্মসংস্থান করেছেন এ মানবিক নেতা। তাছাড়াও ৯ এতিম বাচ্চার পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা করছেন।
একান্ত সাক্ষাতকারের পরিশেষে-জসীম উদ্দিন আহম্মেদ খোকন বলেন-উপরওয়ালা সহায় হলে জনগণের ভালবাসা ও সমর্থন পেলে পৌরবাসীসহ জনমানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে চাই।