প্রকাশের সময় 14/01/2025
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন ভূঁঞা একজন দুর্দিনের রাজপথের পরীক্ষিত নেতা। গত দেড় যুগক্ষমতার বাইরে থাকা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও চেতনাকে ভালোবেসে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সততা আর সাহসিকতার সাথে রাজনীতি করে আসছেন বিশিষ্ঠ রাজনীতিবীদ, সমাজসেবক জয়নাল আবেদীন ভূঁঞা। বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ জয়নাল আবেদীন ভূঁঞা এলাকায় একজন ক্লীন ইমেজের নেতা হিসেবে সুপরিচিত। তিনি রাজনীতিসহ সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। একজন রাজপথের লড়াকু সৈনিক তিনি। রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশেও অবিচল ছিলেন তিনি হিমালয়ের মত। রাজনীতিতে বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন তিনি। হামলা মামলা হয়রানী করার পরেও তাকে বিন্দুমাত্র দমাতে পারেনী। রাজনীতিতে তার ক্লীন ইমেজের নেতা হিসাবে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সর্বমহলে। এলাকায় তাঁর রয়েছে হাজার হাজার বিএনপি অন্তপ্রান নেতা। নেতাকর্মীরা তাকে বিপদে-আপদে আপনজন হিসেবে কাছে পান। সাংগঠনিক দক্ষতা এবং যোগ্যতার বিচারে তার সুনাম রয়েছে।
জয়নাল আবেদীন ভূঁঞা ১৯৬২ সালে কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের চক বাট্টা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত আব্দুর রহমান ভূঁঞা, মাতার নাম ফেরদৌসা বেগম। কেন্দুয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদালয়ে থেকে পঞ্চম শ্রেনী পাস করেন। কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮১ সালে কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতে যোগদান করে অগ্রণীয় ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ে কলজে ছাত্রদলের সংসদ নির্বাচনে ভি.পি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জননিরাপত্তা আইনে কারাবরণ করেন দীর্ঘদিন। পরবর্তী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেন্দুয়া পৌর বিএনপির ৩ বার সভাপতি মনোনীত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মনোনীত হন এবং ২০২৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আজ অবধি দায়িত্ব পালন করে ছলেছেন।
একান্ত সাক্ষাতকারে জয়নাল আবেদীন জানান-রাজনীতির প্রতিহিংসাার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত ২৭ টি মামলার আসামী হতে হয়েছে এবং ৩ বার কারা বরণ করতে হয়েছে। তিনি ১৯৮৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক।
তিনি আরও বলেন-আগামীদিনে জনগণের সাথে সুসম্পর্ক রেখে আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেকে রহমানের নির্দেশনায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে করে দলকে আরও বেশী সুসংগঠিত করতে হবে।
এছাড়াও বলেন-শহীদ জিয়ার নীতি আদর্শকে ভালবেসে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন এবং আজীবন তিনি এই দলের সাথে যুক্ত থাকতে চান।
জয়নাল আবেদীন ভূঞাঁ ব্যক্তি জীবন, পেশাগত জীবন, রাজনৈতিক জীবন সব ক্ষেত্রে ক্লীন ইমোজের মাধ্যমে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। তিনি মেধাবৃত্তিক রাজনীতিকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তার মত ব্যক্তি রাজনৈতিক অঙ্গনকে আরও বেশী স্বচ্ছতার মাধ্যম মানুষের কল্যাণে কাজ করে সমাজকে আলোকিত করে তুলবে এমনটাই অভিমত এলাকাবাসীর।