প্রকাশের সময় 28/04/2024
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সিদ্দিক মিয়ার বিরুদ্ধে স্বামী মো. বাবুল মিয়ার সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীর কথায় অনুযায়ী ওই মেম্বারের সঙ্গে শারীরিক মেলামেলাতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে বৈদ্যুতিক শর্ট, ঘরের খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনসহ পাশবিক নির্যাতনের রয়েছে নানা অভিযোগ। নির্যাতনের পরেরদিনেই ওই গৃহবধূ মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ভূক্তভোগী নারী বিচার চেয়ে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়টি শনিবার (২৭ এপ্রিল/২৪) নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন চন্দ্র রায়। তিনি জানান, এ ঘটনায় মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
স্ত্রীর এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন মো. আলী বক্সের পুত্র মো. বাবুল মিয়া। তিনি এ প্রতিনিধিকে উল্টো প্রশ্ন করেন, নিজের স্ত্রীকে দিয়ে এসব জঘণ্য ঘটনা কেউ কি করতে পারে; বলেন? সাক্ষাতে বিস্তারিত বলবো। এরপরে দু’দফা বাড়িতে গিয়েও বাবুল মিয়াকে খোঁজে পাননি এ প্রতিনিধি। ঘর ছিলো তালাবদ্ধ। মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।
সাবেক ইউপি মেম্বার মো. সিদ্দিক মিয়া জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে খোঁজ-খবর নিতে বাবুলের বাড়িতে গিয়েছেন। তবে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল এ ষড়যন্ত্র করছে।
ভিকটিম জানায়, বাবুল মিয়ার সঙ্গে প্রায় দেড় বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। এ পর্যন্ত তার স্বামী ৭/৮টি বিয়ে করেছে। লেখাপড়া (ধর্মীয় বিধান ও রেজিষ্ট্রি ব্যতিত) ছাড়াও কতো নারীর সর্বনাশ করেছে সে-টা বলতে পারবো না। সিদ্দিক মেম্বার সঙ্গে মেলামেশায় রাজি না হওয়ায় ও তাতে বাঁধা দিলে আমার স্বামী আমার হাত-পা বেঁধে ও মুখ ছেপে ধরে রেখে তাকে ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে। এরপরেও বেশ কয়েকবার মেলামেশা করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে রাজি না হওয়ায় আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও লোহার পাইপ দিয়া গোপানাঙ্গে নির্যাতন করেছে। এতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার স্বামী চিকিৎসা করায়। নির্যাতনের পরের দিন আমার গর্ভের মৃত সন্তান প্রসব হয়। গত বুধবার (১০ এপ্রিল/২৪) রাতে আবারও সিদ্দিক মিয়াকে নিয়ে এসে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বললে আমি কৌশলে পালিয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি।