বাংলাদেশের ‘নব্বইয়ের’ সমারিক স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহমেদ মারা গেছেন। সোমবার (৩ জুন) বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
শফি আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার এক শোকবার্তায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
শফী আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার বিকেলে শফী আহমেদ তার ঢাকার উত্তরার বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৯০-এর আণ্দোলনের সময় শফী আহমেদ জাসদ সমর্থক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। আজ (৪ জুন) ১১:০০ ঘটিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং ১১:৩০ ঘটিকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
শফী আহমেদ স্ত্রী, দুই ছেলে এবং অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শফী আহমেদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামে।
সবার আগে আমরা আছি আপনার সাথে