
প্রকাশের সময় 15/04/2025
(রিপোর্ট করেছেন এ কে এম আব্দুল্লাহ)
প্রতারণার মাধ্যমে ৪ টন মাছ ফিসারী থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম হীরাসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার খাগুরিয়া ভবের বাজার রাইয়ান এগ্রো ফিসারীর মালিক রুহুল আমিন খান বাদী হয়ে গত ১৩ এপ্রিল পূর্বধলা আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে প্রকাশ, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার পুড়াবাড়ি মাঝিপাড় এলাকা জয়নুদ্দিন এর পুত্র শরিফুল ইসলাম হীরা ও আরিফ মিয়া গত ৮ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে ৩টি গাড়ী নিয়ে পূর্বধলা উপজেলার হিরনপুর গ্রামের মোঃ মফিজ খানের পুত্র রুহুল আমিন খানের মালিকানাধীন খাগুরিয়া ভবের বাজারস্থ রাইয়ান এগ্রো ফিসারীতে আসে। তারা মাছ ক্রয় করিবার কথা বলে প্রতি কেজি মাছ ১৪৩ টাকা দরে ৪০৩৬ কেজি মাছ ৩টি গাড়ীতে লোড করতে থাকে। প্রথম দুটি গাড়ী লোডের পর তারা ফিসারী থেকে বের হওয়ার সময় মাছ বিক্রি বাবদ ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১ শত ৪৮ টাকা পরিশোধ করার কথা বললে সুচতুর হীরা বলে তৃতীয় গাড়ীটি ছাড়ার সময় সমুদয় অর্থ পরিশোধ করা হবে। এক পর্যায়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রতারক চক্রটি একে অপরের সহযোগিতার মাছ ভর্তি গাড়ী নিয়ে ফিসারী থেকে বের হয়ে ময়মনসিংহের দিকে রওনা দেয়। টাকা পরিশোধ না করেই মাছ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ফিসারীর মালিক তাৎক্ষণিক তার ম্যানেজার দেবাশীষ দেবনাথ খোকন ও তার গাড়ীর ড্রাইভার সোহেলকে মাছ ভর্তি গাড়ী গুলো খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। অনেক খুঁজাখুঁজির পর দুপুর ২টার দিকে ত্রিশাল পুড়াবাড়ী বাজারস্থ হীরার অফিস ঘরের সামনে গাড়ীগুলো খালি অবস্থায় পায়। এ ব্যপারে ম্যানেজার হীরার সাথে কথা বললে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ম্যানেজার খোকন ও ড্রাইভার সোহেলকে মারপিট করে। তারা এক পর্যায়ে টাকার কথা বললে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানোর পরও কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়ে হীরা, আরিফ, তামিম ও দুলাল মিয়াকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি আমলে নিয়ে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জকে মামলা গ্রহণ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।