নেত্রকোনার মদন উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামে খালাতো ভগ্নিপতি নাঈম (৩০)এর হাতে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনি আক্তার (১৬) খুনের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত স্কুল শিক্ষার্থী মনি আক্তার উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের ছত্রকোনা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত মনি আক্তার উপজেলা ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর সৈয়দ আলী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণী শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১ টার দিকে মা, মিনা আক্তার (৫০) সাংসারের কাজের জন্য দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মনি আক্তার কে বাড়িতে রেখে বাজারে যান। বাজার থেকে বাড়িতে এসে মেয়েকে ডাকলে সাড়া না পাওয়ায় রুমে গিয়ে দেখে মেয়েকে গলায় ওড়না বেঁধে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলানোর চেষ্টা করছে খালাতো ভগ্নিপতি নাঈম।এমন সময় নিহত মনি আক্তারের মায়ের ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসলে খালাতো ভগ্নিপতি নাঈম পিছনের দরজা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা এসে দেখে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মরদেহ পড়ে আছে।স্কুল শিক্ষার্থী মনি আক্তারের গত ১৫ দিন পূর্বে মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ছোটন এর সাথে ওই দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর মনি আক্তারের পারিবারিকভাবে বিবাহ কথা ঠিক হয়েছিল। খালাতো ভগ্নিপতি নাঈম কৌশলে বিবাহটা ভেঙ্গে দিয়ে শালিকা মনি আক্তারকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি দেয়।
নিহত মনি আক্তারের মা মিনা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে বাঁচার জন্য হয়তো তার সাথে দস্তাদস্তি করেছে, এ কারণে আমার চাউলের মটকা ভেঙ্গেছে। মেয়ের বিবাহ টা ভাঙ্গার পর থেকে প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে আসে নাঈম, থাকে নিষেধও করা হয়েছে আমাদের বাড়িতে না আসার জন্য। আমার মেয়েকে নাঈম খুন করেছে আমি নাঈমের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে মদন থানা তদন্ত (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্কুল শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবার আগে আমরা আছি আপনার সাথে