নেত্রকোনা মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানী গ্রামের সামনে হাওরের গুড়াট ও সরকারি পানির ডিপ মেশিনের কালবাট ভেঙ্গেচুরে বেহাল দশা করেছে জাকারুল নামের সুবিধাবাদী ভেকু ব্যবসায়ী ভূমি খাদক চক্রের একজন।
২৫ মার্চ রোজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায, কেশজানি বটগাছের পাশে বয়ে যাওয়া গুড়াটে মাথায় ফসলি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে লরিট্রাকে করে মাটি নিয়ে
বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাটাতে ও নির্মানাধীণ বাড়ীতে।
সরকারি গুড়াট দিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করে ভেকু ব্যবসায়ী জাকারুল ফসলি জমির মাটি বিক্রি করায় বৈশাখ মাসের কৃষকের ধানের গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে রাস্তাটি।
কৃষকের জমিতে পানি দেওয়া ডিপ মেশিনের কালভার্ট ও ভেঙে ফেলায় কৃষক রেহান মিয়া ও কৃষক সুকুমার দেবনাথ, ও কেশজানি গ্রামের মৃত আবুল মাস্টারের ছেলে জাসিম মিয়া জানান, প্রতিনিয়ত জাকারুল নামের মাটি ব্যবসায়ী মাটিসহ লরি গাড়ি যাওয়ায় আমার ডিপ মেশিনের সেচ লাইনের কালভার্ট ভেঙে ফেলছে দুইটা।
ফসলের জমিতে পানি দিতে এখন সমস্যা হচ্ছে ।
সামনে আসছে বৈশাখ মাস এই গুড়াটের রাস্তাটি দিয়ে গ্রামবাসীর হাজার হাজার একর ধান উঠাতে হয়।
প্রতিনিয়ত যাকারুল মাটি ব্যবসায়ী মাটি সহ লরি গাড়ি যাতায়াত করায় গুড়াটে রাস্তাটি ভাঙছে কালভার্ট ভাঙছে রাস্তাটি এখন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মাটির লরি গাড়ি যাওয়ার কারণে।
আমি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।
এছাড়াও বিশেষ মহলের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবৈধ ভাবে জাকারুল মাটির বিক্রয়ের ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
পানি শেষ লাইনের কালভার্ট ও রাস্তা ভাঙ্গার কারণ জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভেকু ব্যবসায়ী জাকারুলের সাথে কথা বললে তিনি জানায়, আমি অনুমতি নিয়েই মাটি কাটতেছি। ফসলি জমির সেচ ডিপ মেশিনের ড্রেনের কালভার্ট ও রাস্তা ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে জাকারুল বলেন, মাটির লরি গাড়ি যাওয়ার কারণে কালভার্ট ভাঙ্গতেই পারে আমি নতুন কালভার্ট লাগিয়ে দিব।
এ বিষয়ে কাইটাইল ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) ওবায়দুল রহমান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি, ঘটনাস্থলে লোক পাঠাচ্ছি। বিষয়টি দেখে এসিলেন্ট স্যারকে বিষয়টি জানাবো।
সবার আগে আমরা আছি আপনার সাথে