৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা শফি আহমেদ এর নজি জেলা নেত্রকোনায় তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মরহুমের প্রথম জানাজা তার উত্তরা নিজ বাসভবনের পাশে ৭ নাম্বার সেক্টর মসজিদে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। আজ চার জুন মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় শফি আহমেদের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রাখা হয়। সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা সাড়ে ১১ টায় শফি আহমেদের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগনের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিজ জেলা নেত্রকোনায় তার মোক্তারপাড়াস্থ বাসভবনে নিয়ে আসা হয়। বাদ মাগরিব মোক্তার পাড়া ঈদগাহ্ মাঠে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় শোক প্রকাশ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অসিম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সম্পাদক এডভোকেট এম এ মতিন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সামছুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান খান রতন, সহ-সভাপতি নূর খান মিঠু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সাংবাদিক হায়দার জাহান চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত রায়, নব নির্বাচিত সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মারুফ হাসান খান অভ্রসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বুধবার গ্রামের বাড়ী মদন উপজেলা পরিষদের সামনে সকাল ১০টায় ৪র্থ জানাজা শেষে জেলা শহরের সাতপাই পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
উল্লেখ্য, ৩রা জুন বিকাল আনুমানিক সাড়ে চারটার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাসভবনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ২ ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।
সবার আগে আমরা আছি আপনার সাথে