মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নেত্রকোনায় ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক’ সেমিনার শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন করে শাহ্ সুলতান বিশ^বিদ্যালয় নামকরণের দাবীতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান মদন ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল। লুৎফুজ্জান বাবরের ২১ শে গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাসে মদনে আনন্দ মিছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প এডভোকেট আলিফ হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার ও উগ্রবাদী ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে   নেত্রকানায় খেলাফত আন্দোলনের  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ সুন্দর সমাজ গঠনে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা নেত্রকোনায় জনউদ্যোগের আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নেত্রকোণায় নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক ষ্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নেত্রকোণায় ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা

ব্রেকিং নিউজ
#নেত্রকোনায় ‘নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক’ সেমিনার#শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন করে শাহ্ সুলতান বিশ^বিদ্যালয় নামকরণের দাবীতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান#মদন ভারপ্রাপ্ত ইউএনওর বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল।#লুৎফুজ্জান বাবরের ২১ শে গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাসে মদনে আনন্দ মিছিল।#বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ#ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প#এডভোকেট আলিফ হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার ও উগ্রবাদী ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবিতে   নেত্রকানায় খেলাফত আন্দোলনের  বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ#সুন্দর সমাজ গঠনে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা নেত্রকোনায় জনউদ্যোগের আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান#নেত্রকোণায় নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক ষ্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত#নেত্রকোণায় ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা#নেত্রকোনা পৌরসভায় প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত লটারীর মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ#গৌরীপুরে শোভাযাত্রা ও আলোচন সভায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত #নেত্রকোনার চাঞ্চল্যকর রিয়াদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাকেলকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার#নেত্রকোনার দুর্গাপুরে রফিক হত্যা মামলায় ৮ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড#দুর্গাপুরে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প#হলুদ পাঞ্জাবীতে হিমু আর নীল শাড়িতে রূপা সেজে নিজ জেলা নেত্রকোনায় হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন পালিত#নেত্রকোণায় সেনাবাহিনীর অভিযানঃ ২৮ কেজি গাঁজা সহ দুই জন আটক#বাংলাদেশ পুলিশ এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি নেত্রকোনার কৃতি সন্তান কামরুল হাসান তালুকদার জুয়েল#শফিকুল ইসলাম দুলালের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে  নেত্রকোনায় মৎস্যজীবী দলের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল #আওয়ামীলীগ এখন মরা লাশ, তাকে নিয়ে টানাটানি করে কোন লাভ নেই —– ভিপি নূরুল হক নূর

নেত্রকোনার বেশীর ভাগ নদ-নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে, নদীর তলদেশে হচ্ছে ধান চাষ

এ কে এম আব্দুল্লাহ্ / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ন

প্রকাশের সময় 30/03/2024

নেত্রকোনা জেলার ভেতর দিয়ে ৮৫টি নদ-নদী প্রবাহিত হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ খনন না করায় কালের আবর্তনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টির পানির সাথে আসা বালি ও পলি পড়ে বেশির ভাগ নদ-নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক নদ-নদীর তলদেশে এখন ধান চাষ করা হচ্ছে।

পাহাড় নদী ও হাওর বাওর পরিবেষ্টিত জেলা নেত্রকোনা। এ জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ছোট বড় ৮৫টি নদ-নদী। সারা বছর এসব নদ-নদী পানিতে টইটুম্বর থাকতো। পাল তোলা নৌকার সাথে সাথে লঞ্চ স্টিমার ও কার্গো জাহাজ চলাচল করতো। নৌ পথে পণ্য পরিবহন খরচ কম হওয়ায় এ অঞ্চলের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী নৌযানে তাদের মালামাল পরিবহন করতো। এছাড়াও নদীর দুই পাড়ের কৃষকরা নদী থেকে পানি সেচ দিয়ে তাদের হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে ফসল উৎপাদন করে আসছিল। এক সময়ের খর¯্রােতা নদ-নদী গুলো কালের বিবর্তনে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় সে সব নদ-নদীতে এখন আর আগের মতো পানি প্রবাহিত হয় না। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পলি-বালি জমে বেশীর ভাগ নদ-নদী এখন তাদের অস্থিত্ব হারাতে বসেছে। নদীর বুক জুড়ে তৈরি হচ্ছে ফসলের মাঠ।
নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা জেলার ৮৫টি নদ-নদীর মধ্যে বড় বড় কংশ মগড়া সোমেশ্বরী, ধনু ও উব্দাখালী নাম বলতে পারলেও বেশিরভাগ নদীর নাব্যতা হারিয়ে যেতে বসায় তাদের নাম বলতে পারছে না। ইতিমধ্যে নেত্রকোনা থেকে হারিয়ে যেতে বসা নদ-নদীগুলো হচ্ছে, আত্রাখালী নদী, কাওনাল নদী, কাকুরিয়া নদী, কানসা নদী, কানাই নদী, কালিয়ারা নদী, কালিহর নদী, কর্ণ বালজা নদী, কালা পানি ঝরা নদী, গুনাই নদী, জলকান্দি নদী, জল শিমুলকান্দি নদী, জারিয়া নদী, তেওড়াখালী নদী, ধলাই নদী, ধোপখলা নদী, ধুপিখালী নদী, নিতাই নদী, বাউরী নদী, ছিলা নদী, তুষাই নদী, বল নদী, বলী নদী, বালই নদী, বেদুরী নদী, বানোয়ারী নদী, বারুণী নদী, বালিয়া নদী, বাঁকহারা নদী, বিষনাই নদী, বেতাই নদী, মরা সুরমা, নয়া নদী, পাতকুড়া নদী, পিয়াইন নদী, সিনাই নদী, রাজেশ্বরী নদী, ধলেশ্বরী নদী, পাটেশ্বরী নদী, ফুলেশ্বরী নদী, লাউয়ারী নদী, সুতি নদী, সুরিয়া নদী, সাইঢুলি নদী, সোনাই নদী প্রমুখ।
কেন্দুয়া উপজেলার কলেজা শির্ক্ষাথী আমিরুল ইসলাম আসিফ বলেন, এলাকার প্রবীণদের কাছে অনেক নদ-নদীর নাম শুনেছি কিন্তু বাস্তবে বেশিরভাগ নদীর প্রকৃত রূপ আমরা দেখতে পাইনি। সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, নেত্রকোনার হারিয়ে যেতে বসা নদ-নদীগুলো যেন দ্রæত খনন করে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়।
নেত্রকোনার মদন উপজেলার মগড়া নদী ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের পেছন ও নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলা গ্রামের সামনে দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে পাশের উপজেলা কেন্দুয়ার সাইডুলি নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ ছাড়াও ধলাই নদী ছত্রকোনা গ্রামের পিছন দিয়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার প্রবাহিত হয়ে তিয়শ্রী ইউনিয়নের সাহিতপুর গ্রামের পিছনের মগড়া নদীতে মিলিত হয়েছে। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী মহল ছত্রকোনার পেছনের অংশসহ বিভিন্ন অংশ যে যার মতো দখলে নিয়ে পানি শুকিয়ে মাছ ধরে ধান চাষ করেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে নীরব থাকায় সচেতন মহলের ধারণা, জনগণ একদিকে নদীর উপকারীতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অপরদিকে সরকার বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হারাচ্ছে।
নদীর দুই পাড়ের কৃষকরা জানান, তারা এই নদীর পানি দিয়ে সারা বছর ঘর গৃহস্থালীর কাজ করতো। বোরো ফসলের মাঠে সেচ দেওয়ার কোনো চিন্তা করতে হতো না। এখন আর জমিতে সেচ দেয়ার মতো পানি নেই।
তারা আরো জানান, এলাকার জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু প্রভাবশালী মহলের দখলে থাকায় মাছ ধরা থেকে বঞ্চিত হয়েছে জেলেসহ সাধারণ জনগণ। দুই তীরে যাদের জমি আছে তারাই নদী দখলে নিচ্ছে। যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর ছলনায় নদী দখল করছে। কেউ কেউ সুবিধা অনুযায়ী নদী থেকে বালি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, নদ-নদী ও খালের নাব্যতা রক্ষায় ইতিমধ্যে ৬০ কোটি টাকা ব্যায়ে তিনটি নদী ও বেশ কয়েকটি খাল খননের কাজ চলমান রয়েছে। আরো ২৪টি খাল খননের প্রকল্প তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, যে সব নদ-নদী ও খাল খননের প্রয়োজন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে তার একটি তালিকা তৈরি করে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। নদী থেকে সকল প্রকার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর