শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
হোটেল শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবীতে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  জাতীয় সমাজ সেবা দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণায় রালী ও আলোচনা সভা  নেত্রকোনায় শীতার্তদের মাঝে যুবদল নেতার কম্বল বিতরণ আটপাড়ায় ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মদনে ছাত্র দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন। কেন্দুয়া সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রত্যাশী মোঃ শফিকুল আলম খসরুর জীবন কথা…… মদনে তারুণ্য উৎসব  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন এসো দেশ বদলাই। তারণ্যের উৎসব নেত্রকোনায় পরিচ্ছন্ন কর্মসূচিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন গৌরীপুর গণপাঠাগারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন নেত্রকোনায় ইয়্যুথ ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, শান্তি সম্প্রীতি পদযাত্রা ও বিচিত্রানুষ্ঠান

ব্রেকিং নিউজ
#হোটেল শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবীতে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন #জাতীয় সমাজ সেবা দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণায় রালী ও আলোচনা সভা #নেত্রকোনায় শীতার্তদের মাঝে যুবদল নেতার কম্বল বিতরণ#আটপাড়ায় ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত#মদনে ছাত্র দলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন।#কেন্দুয়া সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রত্যাশী মোঃ শফিকুল আলম খসরুর জীবন কথা……#মদনে তারুণ্য উৎসব  উপজেলা প্রশাসনের আয়োজন এসো দেশ বদলাই।#তারণ্যের উৎসব নেত্রকোনায় পরিচ্ছন্ন কর্মসূচিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন#গৌরীপুর গণপাঠাগারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন#নেত্রকোনায় ইয়্যুথ ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, শান্তি সম্প্রীতি পদযাত্রা ও বিচিত্রানুষ্ঠান#নেত্রকোনায় এ আর খান পাঠান স্মৃতি উন্মুক্ত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন#মদনে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের মানববন্ধন #গৌরীপুরে রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান #পূর্বধলায় জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) এর নতুন কমিটি গঠন#নেত্রকোণায় যুবদল নেতার উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ#রক্তে ঝরা জুলাই নিয়ে কবি মুকলেছ উদ্দিনের নতুন কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ #মধুপাড়া সীমান্তে ৩১ বিজিবি’র অভিযানঃ ১১৮ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ #নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জে সেনাবাহিনীর অভিযান, ২৩৮ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক#নেত্রকোনার সীমান্তে বিজিবি অভিযানঃ সাড়ে ৩৪ লক্ষ টাকার সুপারী জব্দ #দুর্গাপুরে খাদ্য ভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক ৩ দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ক্যাম্পেইন:

ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে আত্মহত্যা

সমীর কুমার দে / ১৭৬ বার পড়া হয়েছে
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

প্রকাশের সময় 14/03/2024

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে। বাড়ছে ঋণের বোঝা। দ্রব্যমূল্য দিনে দিনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দিনে দিনে সংকট আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে বেশ কয়েকটি পরিবারে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার।

সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী শেষমেশ বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। সুদের যন্ত্রণা তার হূদয় কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা ফুটে উঠেছে জীবননাশের আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের অক্ষরে অক্ষরে। চিরকুটে তিনি লেখেন, ‘সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না। আমার জায়গাজমি, বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেকজনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া, তার সাত-আট-দশ গুণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ আবার কেস করেছেন, কেউ অপমান-অপদস্থ করেছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই বিদায় নিলাম।’ শুধু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নন, আরো অনেকেই সম্প্রতি একই ধরনের আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেশীয় এনজিওর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে অধিকাংশেরই আছে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে আছে মাল্টিপারপাস কোম্পানি; আছে নানা সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ী। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায় শুরু হয়। কৃষকের জমিতে ফসল ভালো না হলেও ঋণগ্রহীতাকে ঘরের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘটিবাটি বিক্রি করে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। যখন তাতেও কুলায় না, তখন ভিটেমাটি ও ঘর বিক্রি করতে হয়। এমনও বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কিস্তি আদায়কারীরা ঋণের দায়ে ঋণগ্রহীতার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শহরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষ সমস্যায় আছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব দাদন ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা।’

(দৈনিক ইত্তেফাক থেকে নেওয়া)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর