শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের অভিযান, দুইটি চোরাই গরু একটি ট্রাকসহ এক চোর আটক আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নেত্রকোনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন নেত্রকোনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদের বিক্ষোভ নেত্রকোণার কলমাকান্দায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে বাড়ী ফেরার পথে নৌকা ডুবে দুই নারীর মৃত্যু কলমাকান্দায় ট্রলার ডুবে ২ নারীর মৃত্যু মোহনগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার  কলমাকান্দায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে ভেসে গেছে স্কুল শিক্ষার্থী কেন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযানে আটক-৮, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জুয়ারী নিখোঁজ

ব্রেকিং নিউজ
#হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক#নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের অভিযান, দুইটি চোরাই গরু একটি ট্রাকসহ এক চোর আটক#আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী#নেত্রকোনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন#নেত্রকোনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদের বিক্ষোভ#নেত্রকোণার কলমাকান্দায় শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে বাড়ী ফেরার পথে নৌকা ডুবে দুই নারীর মৃত্যু#কলমাকান্দায় ট্রলার ডুবে ২ নারীর মৃত্যু#মোহনগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার #কলমাকান্দায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে ভেসে গেছে স্কুল শিক্ষার্থী#কেন্দুুয়ায় জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযানে আটক-৮, নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এক জুয়ারী নিখোঁজ#আজ থেকে বাড়বে গরমের তীব্রতা, কমবে বৃষ্টিপাতের হার#মদনে সুমনখালী খাল খননের এলাকাবাসীর দাবি#টাকা আত্নসাত মামলায় নেত্রকোনায় মাদ্রাসার হিসাব রক্ষক গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ#নেত্রকোনায় তালা ভেঙ্গে মোবাইলের দোকানে চুরি#ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ সভায় শেষ্ঠ ওসি নেত্রকোনা মডেল থানার আবুল কালাম#নেত্রকোনায় জামাইকে ফাঁসাতে গিয়ে শ্বশুর নিজেই ফেঁসে গেলেন#ভারতে বাংলাদেশী রোগীদের নিয়ে কিডনি বাণিজ্য, চিকিৎসার নামে প্রতারণা#মদনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন#আটপাড়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন#নির্বাহী কর্মকর্তার পরিকল্পনায় পাল্টে গেছে মদন উপজেলা পরিষদ চত্বরের দৃশ্যপট

ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে আত্মহত্যা

সমীর কুমার দে / ১৩০ বার পড়া হয়েছে
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৮ অপরাহ্ন

প্রকাশের সময় 14/03/2024

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে। বাড়ছে ঋণের বোঝা। দ্রব্যমূল্য দিনে দিনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দিনে দিনে সংকট আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে বেশ কয়েকটি পরিবারে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার।

সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী শেষমেশ বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। সুদের যন্ত্রণা তার হূদয় কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা ফুটে উঠেছে জীবননাশের আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের অক্ষরে অক্ষরে। চিরকুটে তিনি লেখেন, ‘সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না। আমার জায়গাজমি, বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেকজনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া, তার সাত-আট-দশ গুণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ আবার কেস করেছেন, কেউ অপমান-অপদস্থ করেছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই বিদায় নিলাম।’ শুধু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নন, আরো অনেকেই সম্প্রতি একই ধরনের আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেশীয় এনজিওর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে অধিকাংশেরই আছে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে আছে মাল্টিপারপাস কোম্পানি; আছে নানা সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ী। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায় শুরু হয়। কৃষকের জমিতে ফসল ভালো না হলেও ঋণগ্রহীতাকে ঘরের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘটিবাটি বিক্রি করে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। যখন তাতেও কুলায় না, তখন ভিটেমাটি ও ঘর বিক্রি করতে হয়। এমনও বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কিস্তি আদায়কারীরা ঋণের দায়ে ঋণগ্রহীতার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শহরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষ সমস্যায় আছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব দাদন ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা।’

(দৈনিক ইত্তেফাক থেকে নেওয়া)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর