ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে আত্মহত্যা


publisher প্রকাশের সময় : ১৪/০৩/২০২৪, ৫:৩৮ AM / ১৮২
ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় 14/03/2024

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে। বাড়ছে ঋণের বোঝা। দ্রব্যমূল্য দিনে দিনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দিনে দিনে সংকট আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে বেশ কয়েকটি পরিবারে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার।

সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী শেষমেশ বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। সুদের যন্ত্রণা তার হূদয় কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা ফুটে উঠেছে জীবননাশের আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের অক্ষরে অক্ষরে। চিরকুটে তিনি লেখেন, ‘সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না। আমার জায়গাজমি, বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেকজনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া, তার সাত-আট-দশ গুণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ আবার কেস করেছেন, কেউ অপমান-অপদস্থ করেছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই বিদায় নিলাম।’ শুধু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নন, আরো অনেকেই সম্প্রতি একই ধরনের আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেশীয় এনজিওর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে অধিকাংশেরই আছে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে আছে মাল্টিপারপাস কোম্পানি; আছে নানা সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ী। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায় শুরু হয়। কৃষকের জমিতে ফসল ভালো না হলেও ঋণগ্রহীতাকে ঘরের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘটিবাটি বিক্রি করে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। যখন তাতেও কুলায় না, তখন ভিটেমাটি ও ঘর বিক্রি করতে হয়। এমনও বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কিস্তি আদায়কারীরা ঋণের দায়ে ঋণগ্রহীতার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শহরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষ সমস্যায় আছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব দাদন ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা।’

(দৈনিক ইত্তেফাক থেকে নেওয়া)

ব্রেকিং নিউজ
#লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পরুষ্কার বিতরনী ২০২৫ অনুষ্ঠিত#প্রশাসন ব্যবস্থা পরিচ্ছন ও সংস্কার করে নির্বাচন দিতে যে সময় লাগবে জামায়াত তা দিতে প্রস্তুত        —-মিয়া গোলাম পরওয়ার#নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প#নেত্রকোণায় দ্বিতীয় বারের মতো শ্রেষ্ঠ  অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ্ নেওয়াজ#তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে তিন দিনের বইমেলায় উদ্বুদ্ধ তরুণ প্রজন্ম#সদ্য সরকারিকৃত কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজঃ সকালে অধ্যক্ষ নিয়োগ আদেশ বিকেলে বাতিল#নেত্রকোনায় স্ত্রীকে শ্বাস রুদ্ধ করে  হত্যাঃ পাষন্ড স্বামী আটক#মদনে ট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ#নেত্রকোনায় উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুল বনে অবমুক্ত#নেত্রকোনার সীমান্তে ৩১ বিজিবির অভিযানঃ ১২৮ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ#গৃহবধু আত্মহত্যা নাকি হত্যা দ্বিমত পিত্রালয়ের লোকজনের।#আটপাড়ায় বাস ও সিএনজির সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাঃ সম্পাদক  নিহত #নেত্রকোনার মারাদিঘী গোলাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী#খালিয়াজুরী দ্বি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত#পূর্বধলায় দীর্ঘদিন পর আদালতের রায়ে জমি বুঝে পেয়েছে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ#রাহুল রাজ এর ভিন্ন ধারার ছোট গল্প- একজন ছমির মোল্ল্যা#আটপাড়া উপজেলার আওলীগের ৪০ নেতাকর্মী কারাগারে#১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন, নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ#নেত্রকোনা দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত #নেত্রকোনায় লিমা হত্যাকাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানব বন্ধন

রাজশাহী বিভাগ বিভাগের আরো খবর

আরও খবর