প্রকাশের সময় 07/07/2024
১৯৪৫ সাল! ‘অলডার্নি’ ইংলিশ চ্যানেলের একটি শান্ত ব্রিটিশ দ্বীপ যা অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। তবে একসময় ব্রিটিশ মাটিতে এটি একমাত্র নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্প হিসেবে পরিচিত ছিল। অনেকের মতে এই দ্বীপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হাজার হাজার বন্দীদের জন্য পৃথিবীতে একটি ‘নরক’ হিসেবে কুখ্যাত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংরেজ উপকূল থেকে মাত্র ৭০ মাইল দূরে ‘অলডার্নি’ নামের ছোট এই দ্বীপটি আধিপত্য বিস্তারের জন্য হিটলারের কৌশলের বিশেষ অংশ হয়ে ওঠে।
সম্প্রতি, এই দ্বীপে হোলোকাস্ট পরবর্তী ইস্যুগুলির জন্য যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূত এরিক পিকলস দ্বারা নির্দেশিত বিশেষজ্ঞদের একটি বিশেষ প্যানেলের নেতৃত্বে একটি নতুন তদন্ত করা হয়েছে। অলডার্নিতে বন্দি অবস্থায় শ্রমিকদের সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা বের করতে এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের স্থায়ীভাবে ইতি টানতে নেয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ।
‘অলডার্নি’ হল ব্রিটিশ অধ্যুষিত চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জ, যেটি ১৯৪০ সালে জার্মানরা দখল করেছিল। তখনকার সময়ে প্রায় ১৫শ’ বাসিন্দাদের মধ্যে বেশিরভাগই যুক্তরাজ্যে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে অল্প সংখ্যকই রয়ে গিয়েছিল দ্বীপটিতে, যাদের পরবর্তীতে জোরপূর্বক দাস কিংবা শ্রমিক হিসেবে অনিশ্চিতভাবে জীবন অতিবাহিত করতে হয়।
তবে হঠাৎ কেন এই দ্বীপের কথা বলা হচ্ছে। ঐতিহাসিক সংরক্ষণাগারগুলো খুঁজলে দেখা যাবে, ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসি বাহিনী এই দ্বীপেই প্রায় ২৭টি দেশের বন্দীদের নৃশংস অবস্থায় রেখেছিল। এখানেই ৪টি ক্যাম্পে বন্দীদের এতোটাই অমানবিক আচরণ করা হয়, যা বর্ণনা করারও ভাষা ছিলনা অনেক বিশ্লেষকদের। দ্বীপটি জার্মানদের থেকে স্বাধীন হবার পর তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ১৯৪৫ সালে ‘এস-এস লেজার সিলট’ ক্যাম্পে ৩৮৯ জন বন্দির মৃত্যু হয়। সূত্র: যমুনা নিউজ পোর্টাল.