Dhaka ০১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা গৌরীপুরের বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য্য

প্রকাশের সময় 07/03/2024

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা জোগাবে ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলতাপাড়ায় স্থাপিত  বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য্য।
 অগ্নিঝরা ৭ মার্চ। ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।’ ঐতিহাসিক এ ভাষণেই জাতিকে দেখালো নুতন পথ। তাইতো কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রে বলেছিলেন, ‘৭ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধুমাত্র ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।’
৭মার্চের ভাষণ এ যেন গণমানুষের মুক্তির কবিতা। এ প্রসঙ্গে গ্রেট ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথ বলেছেন,‘পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।’  উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার বলেন ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরী অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভূক্তি হয়েছে। ৭মার্চের মর্মবাণীর কথা ও তার প্রেরণা যুগান্তকাল প্রজন্মান্তর পৌঁছে দেয়ার লক্ষেই দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য্য নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। লাখো পথচারী ও পর্যটককে স্মরণ করিয়ে দিবে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণের কথা। এ ভাষ্কর্য্য নিয়মিত পরিচর্যা ও সংরক্ষণের জন্য সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অধিনে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন গৌরীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যপ্রতিন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিব প্রয়াত হওয়ার পর এসব স্থাপত্যশৈলী সংরক্ষণ ও নিয়মিত পরিচর্যা হচ্ছে না। এগুলো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে নিয়ে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছি।
ঐতিহাসিক পটভূমিতে বঙ্গবন্ধু, তার আদলেই প্রায় ৭০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫৩ফুট উঁচু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য্য ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়ায় নির্মিত হয়েছে। যা প্রায় ৬তলা ভবনের সম উঁচু। শিল্পী এম.এ মাসুদ জানান, ১৮ ফুট দৈর্ঘ্যে আর ৯ফুট উঁচু ভিতের উপরে রয়েছে ৪৪ ইঞ্চির দ্বিতীয় স্তর। এই দ্বিতীয় স্তরে বঙ্গবন্ধুর পা স্পর্শ করে উপরে তাকালে দেখা যায় এক আকাশচুম্বী বঙ্গবন্ধু। মনে হয়, এখানে দাঁড়িয়ে আজও বঙ্গবন্ধু বলছেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।
প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মরহুম ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এম.পি’র নিজস্ব অর্থায়নে ৭মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন শিল্পী এম.এ মাসুদ।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

md rezaul hasan

Popular Post

ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা গৌরীপুরের বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য্য

Update Time : ১০:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

প্রকাশের সময় 07/03/2024

মুজিববর্ষ উপলক্ষে মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা জোগাবে ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলতাপাড়ায় স্থাপিত  বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য্য।
 অগ্নিঝরা ৭ মার্চ। ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।’ ঐতিহাসিক এ ভাষণেই জাতিকে দেখালো নুতন পথ। তাইতো কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রে বলেছিলেন, ‘৭ মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধুমাত্র ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।’
৭মার্চের ভাষণ এ যেন গণমানুষের মুক্তির কবিতা। এ প্রসঙ্গে গ্রেট ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথ বলেছেন,‘পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।’  উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন সরকার বলেন ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরী অব দ্য’ ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’ এ অন্তর্ভূক্তি হয়েছে। ৭মার্চের মর্মবাণীর কথা ও তার প্রেরণা যুগান্তকাল প্রজন্মান্তর পৌঁছে দেয়ার লক্ষেই দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য্য নির্মিত হয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। লাখো পথচারী ও পর্যটককে স্মরণ করিয়ে দিবে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সেই ভাষণের কথা। এ ভাষ্কর্য্য নিয়মিত পরিচর্যা ও সংরক্ষণের জন্য সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অধিনে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন গৌরীপুরের মুক্তিযোদ্ধারা। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম বলেন, সাবেক স্বাস্থ্যপ্রতিন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিব প্রয়াত হওয়ার পর এসব স্থাপত্যশৈলী সংরক্ষণ ও নিয়মিত পরিচর্যা হচ্ছে না। এগুলো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে নিয়ে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছি।
ঐতিহাসিক পটভূমিতে বঙ্গবন্ধু, তার আদলেই প্রায় ৭০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৫৩ফুট উঁচু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য্য ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের কলতাপাড়ায় নির্মিত হয়েছে। যা প্রায় ৬তলা ভবনের সম উঁচু। শিল্পী এম.এ মাসুদ জানান, ১৮ ফুট দৈর্ঘ্যে আর ৯ফুট উঁচু ভিতের উপরে রয়েছে ৪৪ ইঞ্চির দ্বিতীয় স্তর। এই দ্বিতীয় স্তরে বঙ্গবন্ধুর পা স্পর্শ করে উপরে তাকালে দেখা যায় এক আকাশচুম্বী বঙ্গবন্ধু। মনে হয়, এখানে দাঁড়িয়ে আজও বঙ্গবন্ধু বলছেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।
প্রয়াত সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মরহুম ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এম.পি’র নিজস্ব অর্থায়নে ৭মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন শিল্পী এম.এ মাসুদ।