ভারতে বাংলাদেশী রোগীদের নিয়ে কিডনি বাণিজ্য, চিকিৎসার নামে প্রতারণা

প্রকাশের সময় 10/07/2024

খরচ এবং সেবার মান ভাল বিবেচনায় প্রতিদিনই চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারত যান। এর মধ্যে অনেকেই প্রতারিত হন বিভিন্ন দালাল দ্বারা। আবার কেউ কেউ অভিযোগ তোলেন হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের ওপর। এবার নয়াদিল্লি-ভিত্তিক ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরানোর অভিযোগে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারতের কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে নয়াদিল্লি-ভিত্তিক ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ৫০ বছর বয়সি ওই চিকিৎসকের নাম ডা. বিজয়া কুমার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপোলো হাসপাতালের ওই নারী চিকিৎসক নয়াদিল্লি সংলগ্ন নয়ডা শহরে ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরিয়েছেন। সে ‘যথার্থ’ হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালটেন্ট ও সার্জন ছিলেন ডা. বিজয়া কুমার। যাদের কিডনি সরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে এসব অপারেশন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

দিল্লি পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় এই চক্র মধ্যবর্তী ব্যক্তি বা দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন।

দিল্লিতে একাধিক কিডনি পাচারকারী চক্র সক্রিয়। সেই চক্রের সঙ্গে জড়িত গত মাসে এমন তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতেও অর্থের বিনিময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কাউকে যদি কিডনি বা অন্য কোনো প্রত্যঙ্গ দিতে চান, তাহলে তা বৈধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *