প্রকাশের সময় 08/05/2024
নেত্রকোনার মদন উপজেলার কদমশ্রী বল্লা ব্রিজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে খালিয়াজুরী উপজেলার এনএসআই এটিএল জেবি এন্টারপ্রাইজ টিটু ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলা কদমশ্রীসহ, মাঘান ইউনিয়নের জয় বাংলা, কাতলা, ত্রিপন , মান্দাওরা, গ্রামের লোকজনের যাতায়াতের একমাত্র বল্লা ব্রিজের রাস্তাটি।
মদন উপজেলা এলজিডি তত্ত্বাবধানে বল্লা ব্রিজের দুই পাশের এপ্রোচের এক কোটি ৫১ লক্ষ সাত শত টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ব্রিজের ৩৪০ মিটার এপ্রোচ। কদমশ্রী বল্লা ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। তাই কাজ শেষ হওয়ার আগেই অতি তাড়াতাড়ি ভেঙে যাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, এই ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণে যে খোয়া ও বালু সিমেন্ট, ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো নিম্নমানের।
মদনে কদমশ্রী বল্লা ব্রিজের রাস্তাটি ভাটি অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আর এই রাস্তার এপ্রোচের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসী হতাশ।
এলজিডির কিছু অসাধু কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এমন অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছে খালিয়াজুরী উপজেলার এনএসআই এটিএল জেবি এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই রাস্তাটির কারণে এলাকার জনগণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এক অজানা কারণেই নিরব ভূমিকা পালন করছে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
নাম না বলা শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজন শ্রমিক জানান, এ খোয়া ও বালু খারাপ কিনা তা আমি বলবো না, আমাদের টিটু ঠিকাদার সহযোগী জসিম যে মালামাল এনে দেয় তা দিয়েই কাজ করতে হয় এর বাহিরে আমরা কিছু জানি না।
কদমশ্রী গ্রামের অনেকেই জানান ১ কোটি ৫১ লক্ষ সাত শত টাকার কাজ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই ব্রিজের সংযোগ সড়কের এপ্রোচের কাজ চলছে।
নতুন নরম মাটির উপরে ব্লক বসিয়ে কাজ হইলো সবেমাত্র কিছুদিন যেতে না যেতে এপ্রোচ উঁচু-নিচু হয়ে ফাঁটল ধরছ এবং কি রোড এক্সিডেন্টের আশঙ্কাও রয়েছে।
খালিয়াজুরী উপজেলার এনএসআই এটি এল জেবি এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি টিটু মিয়া জানায়, আমি দুই নাম্বার মাল দিয়া কাজ করিনি, আপনাদের সাথে জসিম যোগাযোগ করবে।
মদন উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ গোলাম কিবরিয়া পিয়াল বলেন, কদমশ্রী বল্লা ব্রিজের দুই পাশের এপ্রোচের কাজ এখনও চলমান আছে কাজ বুঝিয়ে দেয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত না কাজ সম্পূর্ণ কমপ্লিট হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বুঝে নেব না, এবং সম্পূর্ণভাবে কমপ্লিট করে দিতে হবে ঠিকাদারের নতুবা বিল বন্ধ থাকবে।