
প্রকাশের সময় 29/06/2025
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় মারামরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীদের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর, লোটপাট ও ফিসারির মাছ বিষ প্রয়োগে নিধনের অভিযোগ রয়েছে বাদি পক্ষের বিরুদ্বে।
উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামের তাজুল ই্সলাম ও রুকন গংদের সাথে এ বছরের জানুয়ারী থেকে ডাউকি জামে মসজিদের রাস্তা পরিবর্তন নিয়ে বিরুধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন দুপুরে তাজুল ইসলামের ছেলে রাকিবকে রুকন গংরা সান্দিকোনা বাজারে মারপিট করে। এরই জের ধরে গত ২২ জুন সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি মত ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়। গুরুতর আহত হয় রুকন উদ্দিন ভূইয়া, তিনি সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক । রুকন উদ্দিন ভূইয়া প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন, এখন পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সান্দিকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
এ ঘটনায় রুকন উদ্দিন ভূইয়ার মেয়ে বাদি হয়ে কেন্দুয়া থানায় আট জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তাজুল ইসলাম গংরা পলাতক থাকায় ঘটনার দিন রাতে রুকন গংরা তাজুল ইসলাম গংদের বাড়ি ঘরে হামলা, বসবাস রত মহিলাদের মারপিট, ঘরের ভিতরে থাকা আসভাব পত্র ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নীসংযোগ করে। দুটি ফিসারিতে বিষ প্রয়োগ করে আনুমানিক ৩৫ লক্ষ টাকার শিং মাছ নিধন করে বলে জানায় ফিসারীর মালিক পলাতক তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম আরও জানায়, রুকন গংদের সাথে পুর্বে আমার কোন বিরুধ ছিলনা। মসজিদটি বহু বছর ধরে পাড়ার বাড়ি ঘরের মাঝখানে অবস্থিত ছিল। গ্রামবাসী আমাকে বল্ল রাস্তার পাশে মসজিদ নির্মানের জন্য জায়গা দিতে। আমি গ্রামবাসীর কথায় রাজি হয়ে মসজিদটি পুনঃনির্মানের জন্য রাস্তার পাশে জায়গা দেই। যথারিতি রাস্তার পাশেই নতুন সমজিদের কাজ চলমান । মসজিদটি যখন বাড়ির ভিতরে ছিল তখন রাস্তা ছিল একদিকে আর এখন নতুন মসজিদ নির্মান হওয়ায় আমি আমাদের বাড়ির মানুষের চলাফেরার সুবিধার জন্য রাস্থা করেছি অন্য দিক দিয়ে। মুলত এ নিয়েই রুবেল গংদের সাথে বিরুধ চলে আসছিল।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিরোধের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে । হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।