Dhaka ০১:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকনায় জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশঃ ভারতীয় পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

প্রকাশের সময় 08/06/2024

জঙ্গী আস্তনা সন্দেহে নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামের একটি বাড়িকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বাড়ির ভিতরে বোমা থাকতে পারে এমন সন্দেহে ময়মনসিংহ থেকে এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ডুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নানের বাড়ি এটি। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে। তবে তিনি স্বপরিবারে গাজীপুরে বসবাস করেন। দুই বছর আগে ফিসারী পরিচালনা করার জন্য আরিফ নামের এক ব্যাক্তিকে তিনি এ বাড়িটি ভাড়া দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কিছুদিন যাবৎ বাড়িটির প্রতি নজরদারী করে আসছিল। জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে পুলিশ শনিবার (৮ জুন) বেলা ২টার দিকে ওই বাড়িতে প্রাথমিক তল্লাশি চালায়। এ সময় একটি ভারতীয় পিস্তল ও ১৭ রাউন্ড গুলিসহ জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাড়ি থেকে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ আসার খবর পেয়ে জঙ্গিরা হয়তো পালিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, বাড়ির ভেতরে ব্যায়ামাগার, সাউন্ডপ্রুপ কক্ষ, বুলেট প্রুপ সরঞ্জাম থাকায় নিরাপত্তার জন্য এখনও চূড়ান্ত অভিযান চালানো হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাউন্টার এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও বোম ডিস্পোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। এসব ইউনিট আসলেই বাড়িতে চূড়ান্ত অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত কোন কিছুরই ছবি প্রকাশ করেনি তারা।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে এন্টিটেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডি আই জি আসাদুল্লাহ চৌধুরী পুলিশ সুপারকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাহির হয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, তারা বাড়ির ভেতর একটি ব্যায়ামাগার, একটি সাউন্ড প্রুপ কক্ষ, বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ, খেলনা এ কে ফোরটি সেভেন, বিভিন্ন ধরণের পিস্তল সহ নানা প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম পেয়েছেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি একটি প্রশিক্ষণ শিবির। এছাড়াও বাড়ির মালিককে গাজীপুর থেকে বাড়িতে আসতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত অভিযান চালানোর আগ পর্যন্ত বাড়ির চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

md rezaul hasan

কলমাকান্দা সীমান্তে বিজিবি’র অভিযান, ৪৭ বোতল ভারতীয় মদ আটক

নেত্রকনায় জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশঃ ভারতীয় পিস্তল ও গুলি উদ্ধার

Update Time : ১০:০৬:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

প্রকাশের সময় 08/06/2024

জঙ্গী আস্তনা সন্দেহে নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামের একটি বাড়িকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
বাড়ির ভিতরে বোমা থাকতে পারে এমন সন্দেহে ময়মনসিংহ থেকে এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ডুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নানের বাড়ি এটি। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে। তবে তিনি স্বপরিবারে গাজীপুরে বসবাস করেন। দুই বছর আগে ফিসারী পরিচালনা করার জন্য আরিফ নামের এক ব্যাক্তিকে তিনি এ বাড়িটি ভাড়া দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কিছুদিন যাবৎ বাড়িটির প্রতি নজরদারী করে আসছিল। জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে পুলিশ শনিবার (৮ জুন) বেলা ২টার দিকে ওই বাড়িতে প্রাথমিক তল্লাশি চালায়। এ সময় একটি ভারতীয় পিস্তল ও ১৭ রাউন্ড গুলিসহ জঙ্গি প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাড়ি থেকে কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ আসার খবর পেয়ে জঙ্গিরা হয়তো পালিয়ে গেছে। তিনি আরো জানান, বাড়ির ভেতরে ব্যায়ামাগার, সাউন্ডপ্রুপ কক্ষ, বুলেট প্রুপ সরঞ্জাম থাকায় নিরাপত্তার জন্য এখনও চূড়ান্ত অভিযান চালানো হয়নি। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাউন্টার এন্টিটেরোরিজম ইউনিট ও বোম ডিস্পোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। এসব ইউনিট আসলেই বাড়িতে চূড়ান্ত অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত কোন কিছুরই ছবি প্রকাশ করেনি তারা।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে এন্টিটেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডি আই জি আসাদুল্লাহ চৌধুরী পুলিশ সুপারকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাহির হয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, তারা বাড়ির ভেতর একটি ব্যায়ামাগার, একটি সাউন্ড প্রুপ কক্ষ, বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ, খেলনা এ কে ফোরটি সেভেন, বিভিন্ন ধরণের পিস্তল সহ নানা প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম পেয়েছেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি একটি প্রশিক্ষণ শিবির। এছাড়াও বাড়ির মালিককে গাজীপুর থেকে বাড়িতে আসতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত অভিযান চালানোর আগ পর্যন্ত বাড়ির চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।