Dhaka ১০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোণায় ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা

প্রকাশের সময় 21/11/2024

 

নেত্রকোণা’র কেন্দুয়া উপজেলায় পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে, এই মাদ্রাসা থেকে বেরিয়েছে শতাধিক হাফেজ,তাতে এলাকাবাসীর মতো গর্বিত ও আনন্দিত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ আব্দুর রাশীদ।

১৯৮৬ সালে নিজের ৯০ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করে এই মাদ্রাসা গড়ে তুলেন আইনজীবী সহকারী ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী মোঃআব্দুর রাশীদ । এলাকায় তিনি একজন গুণী সাদা মনের মানুষ হিসেবে সুপরিচিত । তার ছেলে হাফেজ ,মাওলানা মুফতী রায়হান আমিন রাশিদী মাদ্রাসাটির মোহতামিম । সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানে শিক্ষার্থীরাও আনন্দের সাথে পড়াশোনা করছে।
মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আছে ০১ টি এল আকৃতির হাফ বিল্ডিং , ০১ টি মসজিদ,০২ টি পাকা ঘাট বাঁধানো পুকুর ও শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দরকার একাডেমিক ভবন, সীমানা দেয়াল ও পাকা রাস্তা। আবাসিক অনাবাসিক ৭০ জন এতিম শিশুদের নিয়মমাফিক পাঠদান করছেন ০৩ জন শিক্ষক। মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মুফতী রায়হান আমিন রাশিদী বলেন ,
পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা একটি আদর্শ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান । এই মাদ্রাসা থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী হাফেজ হয়ে ঢাকা লালবাগ মাদ্রাসা , সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো , আব্দুর রাশীদ বলেন , সরকারি বেসরকারি ব্যাক্তিগত সকলের সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি চলছে।
পড়ালেখার ধারা অব্যাহত রাখতে একটি একাডেমিক ভবন জরুরী দরকার এবং সীমানা দেয়াল ও পাকা সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ইচ্ছে করলে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় সহযোগিতার করার জন্য মাদ্রাসার পরিচালকের ব্যাক্তিগত বিকাশ ( ০১৭২৪-০৭০৬১০/০১৯৪৪৪৩৫৫৬৭ )
নাম্বারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে পীরজাদা শাহ্ সুফী মো, আব্দুস সাদেক
জানান , জন্মলগ্ন থেকেই পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা টি দায়িত্বশীলভাবে অসহায় ও এতিম শিশুদের পাঠদান দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা , জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মাদ্রাসাটিতে পরিদর্শন করেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন । শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে তাই অচিরেই একটি একাডেমিক ভবন দরকার যাতে পাঠদানে ব্যাহত না হয় । পাশাপাশি সীমানা ওয়াল ও পাকা সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবছর মার্চ মাসে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। অসহায় ও এতিম শিশুদের হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিখ্যাত এই মাদ্রাসাটি সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে চলুক উন্নয়নের লক্ষ্যে, আলোর পথে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

md rezaul hasan

Popular Post

ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে নেত্রকোনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

নেত্রকোণায় ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা

Update Time : ১১:২৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

প্রকাশের সময় 21/11/2024

 

নেত্রকোণা’র কেন্দুয়া উপজেলায় পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে, এই মাদ্রাসা থেকে বেরিয়েছে শতাধিক হাফেজ,তাতে এলাকাবাসীর মতো গর্বিত ও আনন্দিত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ আব্দুর রাশীদ।

১৯৮৬ সালে নিজের ৯০ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করে এই মাদ্রাসা গড়ে তুলেন আইনজীবী সহকারী ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী মোঃআব্দুর রাশীদ । এলাকায় তিনি একজন গুণী সাদা মনের মানুষ হিসেবে সুপরিচিত । তার ছেলে হাফেজ ,মাওলানা মুফতী রায়হান আমিন রাশিদী মাদ্রাসাটির মোহতামিম । সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানে শিক্ষার্থীরাও আনন্দের সাথে পড়াশোনা করছে।
মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আছে ০১ টি এল আকৃতির হাফ বিল্ডিং , ০১ টি মসজিদ,০২ টি পাকা ঘাট বাঁধানো পুকুর ও শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দরকার একাডেমিক ভবন, সীমানা দেয়াল ও পাকা রাস্তা। আবাসিক অনাবাসিক ৭০ জন এতিম শিশুদের নিয়মমাফিক পাঠদান করছেন ০৩ জন শিক্ষক। মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মুফতী রায়হান আমিন রাশিদী বলেন ,
পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা একটি আদর্শ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান । এই মাদ্রাসা থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থী হাফেজ হয়ে ঢাকা লালবাগ মাদ্রাসা , সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো , আব্দুর রাশীদ বলেন , সরকারি বেসরকারি ব্যাক্তিগত সকলের সহযোগিতায় মাদ্রাসাটি চলছে।
পড়ালেখার ধারা অব্যাহত রাখতে একটি একাডেমিক ভবন জরুরী দরকার এবং সীমানা দেয়াল ও পাকা সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ইচ্ছে করলে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় সহযোগিতার করার জন্য মাদ্রাসার পরিচালকের ব্যাক্তিগত বিকাশ ( ০১৭২৪-০৭০৬১০/০১৯৪৪৪৩৫৫৬৭ )
নাম্বারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে পীরজাদা শাহ্ সুফী মো, আব্দুস সাদেক
জানান , জন্মলগ্ন থেকেই পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা টি দায়িত্বশীলভাবে অসহায় ও এতিম শিশুদের পাঠদান দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা , জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক মাদ্রাসাটিতে পরিদর্শন করেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন । শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে তাই অচিরেই একটি একাডেমিক ভবন দরকার যাতে পাঠদানে ব্যাহত না হয় । পাশাপাশি সীমানা ওয়াল ও পাকা সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবছর মার্চ মাসে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। অসহায় ও এতিম শিশুদের হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিখ্যাত এই মাদ্রাসাটি সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে চলুক উন্নয়নের লক্ষ্যে, আলোর পথে।