Dhaka ০৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মদনে তেলের অভাবে চলে না সরকারি অ্যাম্বুলেন্স

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • ১৯১ Time View

প্রকাশের সময় 21/03/2024

মুমূর্ষ রোগী মৃত্যু শয্যায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও রোগী নিয়ে যেতে পারছে না উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ যেন বিপদের সময় আরও বিপদ।

এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে মদন উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

(২০ মার্চ) রোজ বুধবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা সুয়াইর গ্রাম থেকে জান্নাত আক্তার নামে একটি ডেলিভারি রোগী আসার কয়েক ঘন্টা পার হওয়ার পরও মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনের।

রোগীর চাচি রিপা আক্তার বলেন, আমরা ভাতিজা বউের অবস্থা আশঙ্কাজনক দুই তিন ঘন্টা আগে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি কিন্তু ডাক্তাররা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন ময়মনসিংহ নিতে চাইলে বলে যে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের তেল নেই তাই অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারবে না। আমরা বাহির থেকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নিতে চাইলেও তারা দিতে চাচ্ছে না রোগী নিয়ে যেতে।

আমরা বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের কে অবগত করলে  সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে তড়িঘড়ি করে রোগিটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও তেলের স্বল্পতা দেখিয়ে রোগী নিয়ে যেতে নারাজ এম্বুলেন্স ড্রাইভার,
বিপাকে পড়েছেন রোগীর স্বজনেরা।

পরে স্বজনেরা বাধ্য হয়ে রোগীকে বাঁচানোর তাগিদে একটি প্রাইভেটকার এনে ময়মনসিংহে পাঠান স্বজনেরা।

তেলের স্বল্পতা দেখিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রোগী নিয়ে যেতে নারাজ।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার নয়ন ঘোষের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রোগীটি আসার সাথে সাথেই আমরা তাকে ময়মনসিংহের রেফার করেছি। তবে তেল সংক্রান্ত সমস্যার কারণে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীটিকে পাঠাতে পারছি না এজন্য একটু দেরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও( পঃপঃ) কর্মকর্তা ডাক্তার নুরুল হুদা খান বলেন, আমাদের হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের তেলের দু’বছরের ঘাটতির বিষয়ে সিভিল সার্জন অবগত আছেন।
যেহেতু রোগী ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল।
রোগীর স্বজনেরা এও বলেন, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, স্বজনেরা সম্পূর্ণ তেল দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর জন্য রোগীকে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক ? তখন ডাক্তার হিসেবে আপনাদের করণীয় কি ছিল।
রোগীর স্বজনেরা সম্পন্ন তেল দিয়ে যেতে ইচ্ছুক ছিল বিষয়টা আমি অবগত হয়েছি।
এ কথা বলার পরও যেহেতু ড্রাইভার রোগীকে নিয়ে যায়নি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

md rezaul hasan

Popular Post

নেত্রকোনায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু

মদনে তেলের অভাবে চলে না সরকারি অ্যাম্বুলেন্স

Update Time : ০৯:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

প্রকাশের সময় 21/03/2024

মুমূর্ষ রোগী মৃত্যু শয্যায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও রোগী নিয়ে যেতে পারছে না উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ যেন বিপদের সময় আরও বিপদ।

এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে মদন উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

(২০ মার্চ) রোজ বুধবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা সুয়াইর গ্রাম থেকে জান্নাত আক্তার নামে একটি ডেলিভারি রোগী আসার কয়েক ঘন্টা পার হওয়ার পরও মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনের।

রোগীর চাচি রিপা আক্তার বলেন, আমরা ভাতিজা বউের অবস্থা আশঙ্কাজনক দুই তিন ঘন্টা আগে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি কিন্তু ডাক্তাররা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন ময়মনসিংহ নিতে চাইলে বলে যে হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের তেল নেই তাই অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারবে না। আমরা বাহির থেকে অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নিতে চাইলেও তারা দিতে চাচ্ছে না রোগী নিয়ে যেতে।

আমরা বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের কে অবগত করলে  সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে তড়িঘড়ি করে রোগিটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও তেলের স্বল্পতা দেখিয়ে রোগী নিয়ে যেতে নারাজ এম্বুলেন্স ড্রাইভার,
বিপাকে পড়েছেন রোগীর স্বজনেরা।

পরে স্বজনেরা বাধ্য হয়ে রোগীকে বাঁচানোর তাগিদে একটি প্রাইভেটকার এনে ময়মনসিংহে পাঠান স্বজনেরা।

তেলের স্বল্পতা দেখিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রোগী নিয়ে যেতে নারাজ।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার নয়ন ঘোষের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রোগীটি আসার সাথে সাথেই আমরা তাকে ময়মনসিংহের রেফার করেছি। তবে তেল সংক্রান্ত সমস্যার কারণে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রোগীটিকে পাঠাতে পারছি না এজন্য একটু দেরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও( পঃপঃ) কর্মকর্তা ডাক্তার নুরুল হুদা খান বলেন, আমাদের হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের তেলের দু’বছরের ঘাটতির বিষয়ে সিভিল সার্জন অবগত আছেন।
যেহেতু রোগী ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল।
রোগীর স্বজনেরা এও বলেন, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, স্বজনেরা সম্পূর্ণ তেল দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর জন্য রোগীকে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক ? তখন ডাক্তার হিসেবে আপনাদের করণীয় কি ছিল।
রোগীর স্বজনেরা সম্পন্ন তেল দিয়ে যেতে ইচ্ছুক ছিল বিষয়টা আমি অবগত হয়েছি।
এ কথা বলার পরও যেহেতু ড্রাইভার রোগীকে নিয়ে যায়নি তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।