প্রকাশের সময় 20/10/2024
চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল হাই তালুকদারের স্ত্রী ও সন্তানকে মারপিট করার অভিযোগে রাসেলসহ ১৫ জনকে আসামী করে নেত্রকোনা দ্রæত বিচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এফ আই আর করার নির্দেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, মোনগঞ্জ উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের ভরাম শ্রীরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল হাই তালুকদারের কাছে একই গ্রামের আব্দুল মালেকের পুত্র রাসেল ও তার লোকজন ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল হাই তালুকদার চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রাসেল ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে গত ১লা সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে আব্দুল হাই এর বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর শুরু করে। এ সময় আব্দুল হাইয়ের স্ত্রী জাহানারা আক্তার বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদড়ক মারপিট করে জখম করে। মাকে মারধরের দৃশ্য দেখে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পুত্র জিলানী এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকেও মারপিট করে আহত করে। আশপাশের লোকজন তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ৭ দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে জাহানারা আক্তার বাদী হয়ে রাসেলসহ ১৫ জনকে আসামী করে গত ৯ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা দ্রæত বিচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে আদর্শ নগর তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সোহেল রানা’র সাথে শনিবার যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীঘরে হামলা ও মারধরের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ সুপার অধিকতর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলাটি জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করেন।