শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ
#গৌরীপুরে ১৫শ টাকা মন ধান ও ঢলতাপ্রথা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন#প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১#ধেয়ে আসছে ‘তুফান’#মদনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজের এপ্রোচ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে#নেত্রকোণায় অভ্যন্তরিন বোরো ধান ও চাল এবং গম সংগ্রহ -২০২৪ এর শুভ উদ্বোধন#আটপাড়ায় সর্বজনীন পেনশন স্কীম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা#নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শিলাবৃষ্টি, পাঁকা ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি#আটপাড়ায় বজ্রপাতে কৃষক নিহত#বজ্রপাতে ঘরসহ পুড়ে ছাই মা ও শিশু#কলমাকান্দায় ৪৮ বোতল ভারতীয় মদ’সহ ২ জন আটক#আটপাড়ায় ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত#মদনে ভুয়া ডাক্তার আটক#এশিয়ার সেরা ৩০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই বাংলাদেশ#গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ#তীব্র গরমের হিট স্ট্রোকে নিহত ২#টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস#ধর্ষণের সময় চিৎকার, গলা চেপে ধরায় মারা যায় শিশু ঝুমুর#নেত্রকোনায় মহান মে দিবস পালিত#মহান মে দিবস আজ#কেন্দ্রীয় নেতার মুক্তির দাবিতে নেত্রকোনা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল

ঋণের চাপ বাড়াচ্ছে আত্মহত্যা

সমীর কুমার দে / ১০৩ বার পড়া হয়েছে
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

প্রকাশের সময় 14/03/2024

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানসিক চাপ বাড়ছে। বাড়ছে ঋণের বোঝা। দ্রব্যমূল্য দিনে দিনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তে পরিণত হচ্ছে। মানুষ এখন সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ করছে। ফলে মানুষের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দিনে দিনে সংকট আরও বাড়বে। সাম্প্রতিক সময়ে ঋণের চাপ সইতে না পেরে বেশ কয়েকটি পরিবারে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে এনজিও বা মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার।

সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় সায়মা বেগম (৩৫) তার মেয়ে ৯ বছরের ছাইমুনা এবং সাত বছরের ছেলে তাওহীদকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তিনি ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঋণের জ্বালা সইতে না পেরে সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামে ঝিনাইদহের এক ব্যবসায়ী শেষমেশ বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। সুদের যন্ত্রণা তার হূদয় কতটা ক্ষতবিক্ষত করেছে, তা ফুটে উঠেছে জীবননাশের আগে লিখে যাওয়া চিরকুটের অক্ষরে অক্ষরে। চিরকুটে তিনি লেখেন, ‘সুদখোরদের অত্যাচারে বাঁচতে পারলাম না। আমার জায়গাজমি, বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। একেকজনের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া, তার সাত-আট-দশ গুণ টাকা দিয়েও রেহাই দিল না তারা। কেউ আবার কেস করেছেন, কেউ অপমান-অপদস্থ করেছেন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না, তাই বিদায় নিলাম।’ শুধু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নন, আরো অনেকেই সম্প্রতি একই ধরনের আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

এনজিও ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দেশীয় এনজিওর সংখ্যা ২ হাজার ৩১৮। এর মধ্যে অধিকাংশেরই আছে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি। এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে আছে মাল্টিপারপাস কোম্পানি; আছে নানা সমিতি ও দাদন ব্যবসায়ী। দেশের ৩ কোটি ৫২ লাখের বেশি পরিবার ক্ষুদ্রঋণ পরিষেবার আওতায় রয়েছে। ঋণ নেওয়ার পরের সপ্তাহ থেকে কিস্তি আদায় শুরু হয়। কৃষকের জমিতে ফসল ভালো না হলেও ঋণগ্রহীতাকে ঘরের গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ঘটিবাটি বিক্রি করে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। যখন তাতেও কুলায় না, তখন ভিটেমাটি ও ঘর বিক্রি করতে হয়। এমনও বহু ঘটনা ঘটেছে যে, কিস্তি আদায়কারীরা ঋণের দায়ে ঋণগ্রহীতার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শহরে বিভিন্ন কাজের সুযোগ থাকলেও প্রত্যন্ত গ্রামে অসহায় দরিদ্র মানুষ সমস্যায় আছে। এ জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উচিত এসব দাদন ব্যবসায়ীকে নিয়ন্ত্রণ করা।’

(দৈনিক ইত্তেফাক থেকে নেওয়া)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই কেটাগরির আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর